রক্তিম মিত্র
কতবার পথে নামতে দেখা গেছে সাংবাদিকদের। মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিলের সাক্ষী থেকেছে মহানগর। সরকার উল্টে দেওয়ার ডাকও দেওয়া হয়েছিল সেই সভা থেকে।
একদিনে একুশজন সাংবাদিক আক্রান্ত। প্রায় সব চ্যানেলের সাংবাদিকই আক্রান্ত। বেশ কিছু কাগজের সাংবাদিকও আছেন তালিকায়। রাজ্যে তো দুরের কথা, সারা দেশেই নজিরবিহীন। অথচ, এমন ঘটনার পরেও প্রেস ক্লাবের ভূমিকা কী ?
একটা দায়সারা বিবৃতির বাইরে তেমন কিছু দেখা যায়নি। কারা এই ঘটনায় যুক্ত, তা পরিষ্কার। যাঁরা আক্রান্ত, তাঁরাও দ্ব্যর্থহীন ভাষাতেই জানিয়েছেন, কারা এই আক্রমণের সঙ্গে যুক্ত। তবু প্রেস ক্লাবের সেই বিবৃতি যেন বড়ই দায়সারা। পাছে শাসক দল রেগে যায়, তাই নিরামিষ একটা বিবৃতি দিয়েই দায় সারল সাংবাদিকদের এই সংগঠন। অন্য সংগঠনগুলিও প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু তাও সেই বিবৃতি-নির্ভর।
সব সাংবাদিক একসঙ্গে রাস্তায় নামা যায় না? বিধান নগর কমিশনারেট ঘেরাও করে দাবি জানানো যায় না ? যতদিন অপরাধীদের ধরা না হবে, ততদিন নবান্ন বয়কটের ডাক দেওয়া যায় না ? কর্মরত সাংবাদিকরা ভাবুন, প্রতিবাদে গর্জে উঠবেন? নাকি শাসক দলকে খুশি রাখবেন? নির্বাচন কমিশন, পুলিশ কার্যত শাখা সংগঠনের চেহারা নিয়েছে। এবার প্রেস ক্লাবও কি তেমন তকমাই পেতে চায় ? প্রেস ক্লাবের কর্তারা নিজেরাই ঠিক করুন তাঁরা কোন পরিচয়ে পরিচিত হতে চান।