সোহম সেন
বাংলা সিরিয়াল আর মোহনবাগান কর্তা। এই দুইয়ে অদ্ভুত মিল। বাংলা সিরিয়াল যেমন জট পাকাতে ওস্তাদ, মোহনবাগান কর্তারাও তেমনি। জট পাকিয়েই তাদের যত আনন্দ।
মোহনবাগান সমর্থকরা দয়া করে ভুল বুঝবেন না। আমি নিজেও একজন মোহনবাগান সমর্থক। দল জিতলে আমিও খুশি হই। দল হারলে আমিও কষ্ট পাই। কিন্তু মোহনবাগান সমর্থক বলে কর্তাদের সব ছেলেমানুষিতে সায় দিতে হবে, এই পথের পথিক নই।
গত কয়েক মাস ধরেই দেখছি, প্রতিটি বিষয়ে অহেতুক জটিলতা তৈরি করছেন এই কর্তারা। বিশেষ করে অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। সস্তা নাটক করতে সত্যিই তাঁর জুড়ি নেই। ক্লাবের কী ভাল কাজ করেন, জানি না। তবে তাঁর জন্য মাঝে মাঝেই হাস্যাস্পদ হতে হয়, এটা জানি।
কখনও বলছেন, লিগের গুরুত্ব নেই। কখনও বলছেন, ডার্বি খেলব না। কখনও বলছেন, রিপ্লে চাই। কখনও বলছেন, অমুক জায়গায় ডার্বি হলে খেলব না। কখনও বলছেন ডার্বি স্থগিত করে আগে টালিগঞ্জের সঙ্গে রিপ্লে দিতে হবে।
এবার নতুন পড়েছেন সোশাল মিডিয়া নিয়ে। কে কী লিখল, উনি ছুটলেন এফ আই আর করতে। সোশাল সাইটে সারাদিন নানারকম তর্ক বিতর্ক হয়। গ্যালারিতে গালাগাল যেমন স্বাভাবিক ঘটনা, সোশাল মিডিয়াতেও তাই। এটাকে খুব সিরিয়াসলি নেওয়ার কিছু নেই। বরং, আমরা এই লড়াইটা উপভোগই করি।
কিন্তু দেবাশিস দত্ত পরিস্থিতিকে অহেতুক জটিল করে তুললেন। তিনি ছুটলেন এফ আই আর করতে । সাধারণ একটা বিতর্ক নিয়ে থানাপুলিশ করার কোনও দরকার ছিল ? ডার্বির আগে এমনিতেই নানা অশান্তির আবহ থাকে। দয়া করে সেটাকে আর বাড়াবেন না। রোদে পোড়া, জলে ভেজা সমর্থকরা নয়, প্ররোচনা তৈরি করছে আপনার মতো টাই পরা কর্তারা।
এই কর্তাদের জন্য আমরা অনেক ছোট হয়ে যাই। গ্যালারিতে অহেতুক উত্তেজনা তৈরি হয়। এমনিতেই কল্যাণীতে ছোট গ্যালারি। তারপর যদি মারামারি হয়, তার দায় আপনার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্তাদের।
এই কর্তাদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার সময় এসেছে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা কী বলবেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। আমার মনে হয়, আমাদের নিজেদের ঘরটা সংস্কার করা দরকার। দেবাশিস দত্তদের এই জাতীয় হঠকারি আচরণকে আমরাও যে সমর্থন করছি না, সোচ্চারভাবে তা জানানো দরকার।