নন্দ ঘোষের কড়চা
সোহমের ছবিও লোকে টিকিট কেটে দেখে!
অমরেশ নিয়োগী, সিঙ্গুর
(শুরু হচ্ছে নতুন বিভাগ। নন্দ ঘোষের কড়চা। এই কড়চায় কোনও প্রশস্তিমূলক লেখা ছাপা হবে না। এই বিভাগ বিশ্ব-নিন্দুকদের মুক্তমঞ্চ। প্রাণ খুলে সমালোচনা করুন। সেই সমালোচনায় যুক্তি থাকতেই হবে, এমন কোনও পূর্বশর্ত নেই। দেখতে না পারলে চলন বাঁকা মনে হতেই পারে। আপনিও হয়ে উঠতে পারন নন্দ ঘোষ। আপনিও কলম ধরুন আপনার অপছন্দের তারকার বিরুদ্ধে। এই কিস্তির টার্গেট কে? পড়ে দেখুন, চিনতে পারেন কিনা।)
দেখলে গা- পিত্তি জ্বলে যায়। যেমন দেখতে তেমন অভিনয়। পরিচালকরা বেছে বেছে ওকে দেয়ও সেইসব চরিত্র। অমানুষ, বগা, বোকা ভোলা।
দুচোখে দেখতে পারি না, তাও ওঁর সিনেমা আমাকে দেখতে যেতে হয়। কারণ আমি শ্বশুর বাড়ির বড় জামাই। সেখানে গেলেই শালীরা সোহমের সিনেমা দেখতে যাওয়ার বায়না ধরে। মেয়েগুলো ওর মধ্যে কী পায় কে জানে?
যেমন বুদ্ধিহীন মুখ চোখ, তেমনি নাছের ছিরি। কখনও লুঙ্গি পরে নাচছে। কখনও প্যাখম তুলে নাচছে। নায়িকাগুলোও ওর সঙ্গে অভিনয় করে কেন? বোধহয় ভাবে ওর সঙ্গে অভিনয় করলে লোকে নায়কের থেকে নায়িকাকে বেশি গুরুত্ব দেবে। কিন্তু ওর ছবি তো লোকে দেখছে? লোকের কি পছন্দ অপছন্দ বলে কিছু নেই?
সোহম ছোটবেলায় শাখাপ্রশাখা সিনেমায় “দাদুর এক নম্বরি আছে,বাবার দু নম্বরি আছে” বলেছিল। সত্যজিতের সিনেমায় অভিনয় করেছে বলে নিজেকে উত্তম- সৌমিত্র ভাবে। এমন হাবভাব। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে আবার হাত নাড়ে।
আমার স্ত্রী বলে, সোহম নাকি কোন একটা সিনেমায় হরলিক্স বিস্কুট খেয়েছিল। তাই আমার স্ত্রী সোহমকে দেখলেই হরলিক্স হরলিক্স বলে হাসতে থাকে। আমার মনে হয় সোহমের সিনেমা ছেড়ে দিয়ে আবার হরলিক্স বিস্কুট খাওয়া উচিত। ভালো মানাবে।
আবার শুনছি, বিধানসভা ভোটে দাঁড়াবে। দাঁড়ালে নির্ঘাত জিতবে। কারণ ওর সিনেমা পয়সা খরচ করে দেখার মতো পাবলিক যখন বাজারে আছে, তখন ভোট দেওয়ার মতো লোকও নিশ্চয়ই আছে। আর এক বার জিতলেই সর্বনাশ! সিনেমার পর্দার বাইরেও ওর মুখ দেখতে হবে। হে ভগবান কোথায় যে পালাব?
(আজকের নন্দ ঘোষ অমরেশ নিয়োগী, সিঙ্গুর। মতামতের জন্য bengal times দা্য়ী নয়। আপনিও হয়ে উঠতে পারেন নন্দ ঘোষ। লিখে পাঠান bengaltimes.in@gmail.com এই ঠিকানায়)।