রক্তিম মিত্র
কে বা কারা মুখ্যমন্ত্রীকে বুঝিয়েছেন, অভিষেকের গাড়ির চালক নাকি ঘুমোচ্ছিলেন।
ব্যাস, সঙ্গে সঙ্গে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ। সঙ্গে সঙ্গে এসে গেল অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব। চালককে কেউ কিছু খাইয়ে দিয়েছিল কিনা, এর পেছনে অন্তর্ঘাত আছে কিনা, তা নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠবে রাজ্য রাজনীতি।
বিকেলে হঠাৎই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জি। গুরুতর আহত হয়ে আপাতত তিনি বেলভিউয়ে ভর্তি। দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে রাজ্যপাল, বাম থেকে কংগ্রেস সবাই দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। সবাই চাইছেন, অভিষেক দ্রুত সেরে উঠুন।
কিন্তু সেখানে পরিস্থিতিকে অহেতুক জটিল করে তোলা হল। দুর্ঘটনা সব সময়ই দুঃখজনক। কিছুটা গাফিলতি থাকতেই পারে। কিন্তু সরাসরি অন্তর্ঘাত! চালক যদি ঘুমিয়েই থাকতেন, তাহলে তো অনেক আগেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তিনি নতুন চালক, এমনও নয়। অনেকদিন ধরেই তৃণমূল সাংসদের গাড়ি চালাচ্ছেন। তিনি নিজেও গুরুতর আহত। তাঁর পরিবারের লোকও নিশ্চয় তাঁর আরোগ্য কামনা করছেন। এই সময় এমন আলটপকা মন্তব্য করা খুব জরুরি ছিল ?
কর্তা ধরে আনতে বললে পারিষদ কী করে তা সবাই জানে। প্রতিবার তিনি আগে রায় দিয়ে দেন। তারপর তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তের আগেই রায় ঘোষণা হয়ে যায়। গত পাঁচ বছরে বেশ কয়েকবার এমনটা দেখা গেছে। মুখ্যমন্ত্রী যেমন রিপোর্ট চান, তেমন রিপোর্টই তাঁর সামনে তুলে ধরা হয়। এবারও হয়ত তেমনটাই হবে।
অনেক অপ্রিয় প্রশ্নই তোলা যায়। কিন্তু এই কঠিন সময়ে সেগুলো না তোলাই ভাল। আপাতত তিনি দ্রুত সেরে উঠুন। এই সময় সংযমটা খুব জরুরি। পুলিশি তদন্ত হোক। কারণটা বেরিয়ে আসুক। তার আগে আলটপকা মন্তব্য বা উল্টোপাল্টা নির্দেশ বন্ধ হোক। এই সংযমটা সবার জন্যই জরুরি। হ্যাঁ, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর জন্যও।