মিডিয়া সমাচার
(২০০৭ এ কেন রাষ্ট্রপতি করা হয়নি প্রণব মুখার্জিকে? একান্তে সোনিয়া গান্ধী ডেকে কী বলেছিলেন? ২০১২ তে কার ওপর রাগ করে প্রণববাবুকে মেনে নিয়েছিলেন? এমনই অজানা কাহিনী উঠে এসেছে মিডিয়া সমাচার বিভাগে। পড়ুন, চাইলে সেই লেখার লিঙ্কও পড়ে নিতে পারেন। লিখছেন জেমস অগাস্টাস হিকি।।)
দশ বছর আগের কথা। তখনও সামনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। অনেকেই ভেবেছিলেন, রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন প্রণব মুখার্জি। যোগ্যতার বিচারে অন্যদের থেকে তিনিই এগিয়েছিলেন, সন্দেহ নেই। কিন্তু যোগ্যতা তো সবসময় শেষ কথা বলে না। সেই নির্বাচনে সেটা আরও ভাল করে বোঝা গিয়েছিল। গোটা দেশকে চমকে দিয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন প্রতিভা পাটিল। পাঁচ বছরে এমন কোনও ছাপ রাখতে পারেননি যার জন্য বলা যায়, তিনি যোগ্য রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
সেবার বামেরা চেয়েছিলেন, প্রণববাবুকেই রাষ্ট্রপতি করা হোক। সময়টা ভেবে দেখুন। ইউপিএ ওয়ান। সেবার বামেদের শক্তির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল ছিল কংগ্রেস। তাই বামেদের পরামর্শের বা দাবির আলাদা একটা গুরুত্বও ছিল। কংগ্রেসেরও অনেকেই চেয়েছিলেন প্রণববাবুই যান রাইসিনা হিলসে। তবু তাঁর যাওয়া হয়নি। কারণ, সোনিয়া গান্ধী চাননি।
সোনিয়া হঠাৎ একদিন ডেকে পাঠালেন প্রণববাবুকে। বিচক্ষণ প্রণববাবু বুঝে গিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতেই তাঁকে তলব। মনের মধ্যে আশা–আশঙ্কার দোলাচল। ২০০৪ এ তাঁকে প্রধানমন্ত্রী না করে হঠাৎ করেই প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল মনমোহন সিংকে। এবার কি তাহলে তাঁকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে? সোনিয়া গান্ধী শুরুতেই বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতি হিসেবে আপনার চেয়ে যোগ্য এইমুহূর্তে কেউ নেই। কিন্তু আপনি আমাকে বলে দিন, সরকারে এবং দলে আপনি যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন, আপনি চলে গেলে সেটা কে করবে? আপনার বিকল্প আপনিই খুঁজে দিন। আমি আজকেই রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে আপনার নাম ঘোষণা করে দিচ্ছি।’
ইঙ্গিতটা বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি বিচক্ষণ প্রণববাবুর। বুঝেই গিয়েছিলেন, সোনিয়া গান্ধী তাঁকে রাষ্ট্রপতি ভবনে চাইছেন না। চাইছেন দলে, চাইছেন সরকারের সংকট–মোচনে। এবারও তাঁর যোগ্যতাই তাঁর পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল। এমনই কিছু ঘটনার উল্লেখ আছে সুমন চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ধারাবাহিক স্মৃতিচারণে। এই সময় এর রবিবারের ক্রোড়পত্রে প্রতি সপ্তাহে এই লেখাটি প্রকাশিত হয়। আগ্রহী পাঠক পড়ে দেখতে পারেন। সাংবাদিকের জবানিতে যেমন আছে, তেমনই অনেককিছু আছে স্বয়ং প্রণববাবুর জবানিতে। অন্তরঙ্গ আড্ডায় প্রণববাবু এমন অনেক কথাই বলেছেন, যা কোনও বইয়ে বা সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে বলেন না। সেইসব অজানা কাহিনী জানতে হলে এই ধারাবাহিকটি পড়তে পারেন। যাঁরা রাজনীতি সম্পর্কে আগ্রহী, তাঁরা অবশ্যই পড়ে দেখতে পারেন। পাঁচ বছর পর, অর্থাৎ ২০১২ সালে সোনিয়া কেন বেছে নিলেন প্রণববাবুকে? শুধুই কি তিনি যোগ্য বলে ? নাকি অন্য কোনও অজানা কাহিনী? এই সপ্তাহের কিস্তিতে সেই অজানা স্বীকারোক্তিও আছে। প্রিয় পাঠক, চাইলে পড়ে দেখতে পারেন। মিডিয়া সমাচার আপাতত এইটুকুই। আরও কোনও ভাল বিষয় পেলে আপনাদের সামনে তুলে ধরার ইচ্ছে রইল।