নন্দ ঘোষের কড়চা
মুখ্যমন্ত্রী ভাঙড় গিয়েছিলেন। অন্য নানা কর্মসূচীর পাশাপাশি তিনি সুন্দরবন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেছেন। সোমবারের খবরের কাগজে সেই পুরস্কার বিতরণীর সংবাদ জানিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী এমন ভাব দেখান যেন, বাংলার ফুটবলের উন্নতির জন্য তাঁর চিন্তার শেষ নেই। বাইচুং ভুটিয়া তাঁর দলের হয়ে ভোটে লড়েন, প্রসূন ব্যানার্জি তাঁর দলের এম পি, দীপেন্দু বিশ্বাস তাঁর দলের এম এল এ, শ্যামল ব্যানার্জি তাঁর দলের কাউন্সিলার, গৌতম সরকার তাঁর সবচেয়ে সরব অনুগামী।
কিন্তু আই লিগ- আই এস এস বিতর্কে এই সব ফুটবলাররা কেউ কি দুই প্রধানের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন? প্রসূনবাবু লোকসভার ভিতরে বা বাইরে এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দিয়েছেন? দীপেন্দু কোনও মিছিলের আয়োজন করেছেন? শ্যামল- গৌতম একবারের জন্যও গলা ফাটিয়েছেন? বাইচুং কোনও রাখঢাক না রেখে দুই প্রধানের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এজন্য একবারও বাইচুঙকে সতর্ক করা হয়েছে? আতলেতিকো ডি কলকাতার অন্যতম মালিক সৌরভ গাঙ্গুলি বিধানসভা ভোটের সময় তৃণমূল প্রার্থী বৈশালী ডালমিয়ার হয়ে প্রচার করেছিলেন। তৃণমূল কি তাঁকে একবারও বলেছে, দুই প্রধানের দাবীগুলো নিয়ে একবার ভাবুন?
সব প্রশ্নেরই উত্তর না, না এবং না। অথচ এই মুখ্যমন্ত্রী বাংলার দুই প্রধানকে পরামর্শ দিয়েছিলেন আই এস এলে না খেলার জন্য। দুই প্রধানও ভেবেছিল তাঁর হুমকিতে এ আই এফ এফ এবং রিলায়েন্স গোষ্ঠী কাপড়েচোপড়ে হিসি করে ফেলবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, তাঁর হুমকি এবং দুই প্রধানের চাপকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে এ আই এফ এফ। আর দিদিমণি দার্জিলিং, ভাঙড় ইত্যাদি বৃহত্তর সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
এখন কলকাতার দুই প্রধান কী করবে? কেন সুন্দরবন কাপ, জঙ্গলমহল কাপ, ডুয়ার্স কাপ, ইত্যাদি প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য রাম মালিক, মণীষ ভার্গব, অবিনাশ রুইদাসদের নিয়ে টিম গড়বে। তারপর বিজয়ী দল দিদিমণির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলবে। ওহ, সে যা গৌরবজনক ব্যাপার হবে না!