রজত সেনগুপ্ত
আবার সেই গড়িমসি। আবার সেই নানা জটিলতা। শেষমেষ হয়ত আবার একটা ভুল সিদ্ধান্তের দিকেই পা বাড়াবে বাম শিবির। রাজ্যসভায় প্রার্থী কে হতে পারেন, তা নিয়ে এবারেও কি বাস্তবসম্মত কোনও সিদ্ধান্ত হবে? এখনও ভরসা হচ্ছে না।
সহজ অঙ্ক, নিজেদের জোরে কাউকে জেতাতে গেলে যে সংখ্যক বিধায়ক দরকার, তা বাম শিবিরের নেই। কংগ্রেসের সাহায্য নেওয়া যাবে না।
নিজেদের জোরে কাউকে রাজ্যসভায় পাঠানোর মতো শক্তি কংগ্রেসেরও নেই। দরকার বাম বিধায়কদের সহযোগিতা। ইচ্ছে থাকলেও বাংলার বাম শিবিরের সামনে সেই উপায় খোলা নেই।
তাহলে উপায়? হয় ভোটদানে বিরত থাকা। নয় হারব জেনেও কাউকে দাঁড় করানো।
আরও একটা উপায় আছে। এবং সেটাই গ্রহণযোগ্য। সেটাই বাস্তবসম্মত। সরাসরি দলীয় প্রার্থী না দাঁড় করিয়ে এমন কারও নাম নিয়ে আলোচনা, যাকে কংগ্রেসেরও সমর্থন করতে কোনও দ্বিধা থাকবে না। রাজ্য কংগ্রেসের দিক থেকে যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকাই পালন করা হয়েছে। এমনকী তাঁরা সীতারাম ইয়েচুরিকে সমর্থন দিতেও রাজি। তাই তাঁদের অন্তত দোষারোপ করা যাবে না।
একজন বিকল্প প্রার্থী খুঁজতে এত সময় কেন লাগছে? কবে আবার সম্পাদকমণ্ডলীর মিটিং বসবে, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে? তারপর সেই নাম নিয়ে যাওয়া হবে কংগ্রেস শিবিরের কাছে ? কংগ্রেস শিবির সেই নাম পাঠাবেন হাইকমান্ডে। অনুমোদন হতে সময় লাগারই কথা। আর যদি কংগ্রেস সম্মত না থাকে, বা অন্য কোনও নাম প্রস্তাব করে, তাহলে কি ফের পরের সপ্তাহের সম্পাদকমণ্ডলীর মিটিংয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে? এই গড়িমসিতেই গতবার বাসটা মিস হয়ে গিয়েছিল। এবার কি আবার সেই পরিণতিই ডেকে আনতে চাইছেন বাম নেতৃত্ব?