সৌম্যজিৎ রক্ষিৎ
কেয়কদিন ধরে অদ্ভুত এক ভাল লাগা। মহারাষ্ট্রের ওই কৃষকদের আমি চিনি না। তাদের ভাষাও বুঝি না। কী তাদের দাবি, তার কতটা যুক্তিগ্রাহ্য, তাও বুঝি না। তবু ওদের পদচারণা যেন আমাদেরকেও নাড়িয়ে দিয়ে গেল।
আমরা সেই বাঙালি, যারা শোভন–রত্না–বৈশালীর ত্রিকোণ প্রেমের দ্বন্দ্ব নিয়ে গুলতানি করি। নতুন নতুন জোকস বাজারে ছাড়ি। আমরা সেই বাঙালি, যারা শামির স্ত্রী কী কী অভিযোগ আনল, তাই নিয়ে মেতে থাকি। কিন্তু এই আমাদের মন চলে গেল মহারাষ্ট্রে। মনে হতে লাগল, তাদেরই দলের পেছনে আমিও আছি।
আমরা ১৮০ কিমি পথ হাঁটিনি। আমরা সারা রাত ধরে রাস্তায় লাল পতাকার প্লাবন তুলিনি। আমাদের হাতে–পায়ে ফোস্কাও হয়নি। তবু কেন জানি না, এই পথ চলা যেন আমাদের পথ চলা। শান্তিপ্রিয়ভাবে কী সুন্দর দাবি জানাতে হয়, তা যেন দেখিয়ে দিয়ে গেল মহারাষ্ট্র। কোনও ঢিল ছুঁড়তে হয়নি। ফেসবুকে বিল্পবের বাণী প্রচার করতে হয়নি। টিভি স্টুডিওতে গিয়ে বড় বড় ভাষণ দিতেও হয়নি। কোনও কর্পোরেটের চাঁদা চাইতে হয়নি। মিডিয়া কেন প্রচার দিল না বলে আক্ষেপ করতে হয়নি।
ত্রিপুরায় বামেদের হারে কিছুটা যেন মুষড়ে পড়েছিলাম। এই জনপ্লাবন যেন সব দুঃখ ভুলিয়ে দিয়ে গেল। মন থেকে বলতে ইচ্ছে করছে, লাল সেলাম, কমরেড।