রজত সেনগুপ্ত
দফায় দফায় সন্ত্রাস। কখনও মনোনয়ন দেওয়ার সময়। কখনও মনোনয়ন তোলানোর জন্য। কখনও প্রচারের সময়। কখনও ভোটের দিনে। কখনও কাউন্টিংয়ে। আবার এক দফা ফলাফলের পর।
লাগামছাড়া সন্ত্রাস। প্রশাসন যথারীতি চোখ বন্ধ করে। শাসক দলের লোকেরা যথারীতি উস্কানি দিয়েই চলেছেন। কিন্তু আমার মনে হয়, আসল সন্ত্রাস দেখা যাবে এর পর। এত এত আসনে বিনা লড়াইয়ে জয়। এত এত আসনে ভোট লুঠ করে জয়। কিন্তু এবার তো বোর্ড গঠনের পর্ব। কে হবেন প্রধান, উপপ্রধান। কে হবেন সভাপতি, সহ সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষ? কে হবেন সভাধিপতি? জেলা পরিষদের ব্যাপারটা না হয় রাজ্য নেতৃত্ব সরাসরি হস্তক্ষেপ করবেন। হয়ত মুখ্যমন্ত্রী মুখ বন্ধ খাম পাঠালেন। ওই পর্যায়ে হয়ত অনেকেই দলের নির্দেশ মেনেও নেবেন।
কিন্তু নিচের দুই স্তরে? গ্রাম পঞ্চায়েতে কে প্রধান হবেন, সেটা নিশ্চয় জেলা সভাপতি ঠিক করে দেবেন না। বা ঠিক করে দিলেন জয়ী সদস্যরা মানবেন, এমন নিশ্চয়তা আছে? বীরভূমের ক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডল যে দাপট দেখাবেন, অন্যান্য জেলা সভাপতিদের সেই কর্তৃত্ব নেই। কে প্রধান, কে সভাপতি হবেন, তা নিয়ে দু–তিনটে গ্রুপের মারামারি অনিবার্য। যারা ভোটে জেতার জন্য এত গুন্ডামি করল, তারা প্রধান হওয়ার সুযোগটা ছেড়ে দেবে?
সেই ঝগড়া শুধু ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। রাস্তায় নেমে আসবেই। তখনই বলা যাবে, রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। উন্নয়নের আসল বৃত্তটা বোধ হয় তখন সম্পূর্ণ হবে।
তাই সন্ত্রাসের কী আর দেখলেন। অপেক্ষা করুন আর দেড় মাস। পিকচার আভি বাকি হ্যায়, মেরে দোস্ত।।