ট্যাক্সির ভাড়া বাড়ুক। কিন্তু অহেতুক জটিলতা যেন না তৈরি হয়। কী কী ধাপে বাড়বে, তার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম থাকুক, এবং তা সহজবোধ্য হোক। এমনই কিছু ফর্মুলা উঠে এল জগবন্ধু চ্যাটার্জির লেখায়।
কদিন ধরেই শুনছি, ট্যাক্সির ভাড়া বাড়বে। সবকিছুর দাম যখন বাড়ছে, তখন ট্যাক্সির ভাড়া বাড়াটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া, একথা স্বীকার করতেই হবে, গত দশ বছরে ট্যাক্সির ভাড়া খুব একটা বাড়েওনি।
কতটা বাড়বে, কীভাবে বাড়বে, সে ব্যাপারে সরকারের নিশ্চয় একটা ভাবনা চিন্তা আছে। ইউনিয়নের দাবিদাওয়াও আছে। কিন্তু সাধারণ যাত্রী হিসেবে আমার কতগুলো পরামর্শ আছে।
১) ন্যূনতম ভাড়া হোক ৩০ টাকা। অর্থাৎ, পাঁচ টাকা বাড়ুক।
২) পুরানো মিটারই থাকুক। কিলোমিটার পর্যন্ত এত টাকা— এই জাতীয় জটিল অঙ্ক আনলে আরও বিভ্রান্তি বাড়বে।
৩) আগের মিটার অনুযায়ী উঠুক। ৫০ টাকা পর্যন্ত মিটার উঠলে পাঁচ টাকা বাড়তি দিতে হবে।
৪) মিটারের অঙ্ক ৫০ ছাপিয়ে গেলে (৫০ থেকে ১০০) বাড়তি দশ টাকা।
৫) মিটার ১০০ ছাপিয়ে গেলে (১০০ থেকে ১৫০) বাড়তি ১৫ টাকা। ১৫০ থেকে ২০০ পর্যন্ত বাড়তি ২০ টাকা।
আমার মনে হয়, এতে জটিলতা কমবে। চালকরাও আশা করি, এই সমাধানসূত্র মেনে নেবেন। যাত্রীদের শুরুতে একটু অসুবিধে হলেও, দ্রুত মানিয়ে নেবেন।
আরও একটা কথা, যাত্রী প্রত্যাখ্যান মহামারির আকার নিয়েছে। এতে রাশ টানতেই হবে। ভাড়া বাড়ুক। কিন্তু চালকদের দায়বদ্ধতাও বাড়ুক। যাত্রী প্রত্যাখ্যান করলে অন্তত ন্যূনতম শাস্তির ব্যবস্থা থাকুক। কলকাতা পুলিশের সক্রিয়তা থাকুক।
****