কাছাকাছি পায়ে হেঁটে গ্রাম ঘুরতে বেশ ভালো লাগল। সঙ্গে এবার বাপানও যোগ দিয়েছে। শান্ত, নিরিবিলি। মাঝে মাঝে ফেয়ারি টেলসের বাড়ির মতো রঙিন ছোট্ট ছোট্ট বাড়ি। শরতের মতো নীল আকাশ মাঝে মাঝে সাদা মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। নানা রঙের প্রেয়ার ফ্ল্যাগ উড়ছে।…

চারিদিকে লোকজন নেই বললেই চলে। শান্ত, স্নিগ্ধ নির্জন এক বৌদ্ধ মন্দির। চারপাশটা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। ফুলে ফলে সৌন্দর্যে ভরে আছে জায়গাটা। মন্দির তখনও খোলেনি। এদিক ওদিক ঘুরছিলাম। হঠাৎ চোখে পড়ল নানান বয়সী একদল লামা। কী প্রাণবন্ত! কাজ করছে, খেলছে,…

এবার আমাদের ঠিকানা ওকেটি। জায়গাটার নাম কয়েকদিনা আগেও জানতাম না। নেটে সার্চ করলে হয়ত পাওয়া যাবে। কিন্তু নামটা জানলে তবে তো সার্চ করবেন। নামটাই যদি না শোনা থেকে যায়, তবে কীভাবে সার্চ করবেন?‌ জায়গাটার সন্ধান দিয়েছিলেন তাবাকোশির বিজয় সুব্বা। প্রথমে…

চা-বাগানের জন্য বিখ্যাত ‘‌পেশক’‌ থেকে কিছুটা উপরে উঠলেই মেঘের হাতছানি। সবুজ মখমলের মতো বনানী যেন আহ্বান জানাচ্ছে। যেতে যেতে প্রথমে সুন্দরী গোরীগাঁও। গোটা গ্রামে কুড়ি, পঁচিশটি ঘর। এখান থেকে দেখা যায় কালিংপং অার সিকিমের বিস্তৃত অঞ্চল। পরিষ্কার অাকাশ থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘাও…

সিকিম আবার তার দরজা খুলে দিয়েছে। আবার প্রাণের ডাক দিয়েছে। হ্যাঁ, আবার আমরা যাব। এনজেপি–‌র সেই গাড়িওলা যতই গ্যাংটক–‌গ্যাংটক করে চিৎকার করুক, আমরা ছুটে যাবে সেই শান্ত, স্নিগ্ধ পাহাড়ি গ্রামে। আমার কাছে ওটাই আসল সিকিম। ‌‌

অন্তরা চৌধুরি সত্যি কথাটা প্রথমেই স্বীকার করে নেওয়া ভাল। গিয়েছিলাম বাগোড়া। যদিও আগে সেখানে গেছি। অসাধারণ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। যে কোনও প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের কাছে এই জায়গা বেশ উপভোগ্য। বিশেষত যাঁরা একটু নির্জনতা ভালবাসেন। ছয় দিকে চলে গেছে ছ’টা রাস্তা। একেকটা রাস্তা…

ভ্রমণ মানেই কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন মার্কা রুটিনমাফিক লেখা নয়। উঠে আসুক আপনার একান্ত নিজস্ব অনুভূতির কথা। জঙ্গলে ভোরের স্নিগ্ধতা বা পাহাড়ের বুকে মেঘ ভেসে বেড়ানো। সবই থাকুক। শুধু জঙ্গলে পায়ে পায়ে হাঁটার কথাও থাকতে পারে। বা পাহাড়ি অচেনা গ্রামে…

এই যে হাতি, চিতাবাঘের মাঝে শুয়ে থাকেন, ভয় লাগে না? সাধুবাবা বলতেন, ওদের ভয় পেতে যাব কেন? ওরাও তো আমাকে ভয় পায় না। ওরাও দেখে আমি একা একা এখানে পড়ে থাকি। আমাক মেরে ওদের লাভ কী? ওরাও জানে, কারা ওদের…

সব মিলিয়ে ২২/২৩ ঘণ্টা অসাধারণ কেটেছিল। হয়তো গরম বলে একটু কষ্ট হয়েছে, বর্ষা বা শীত কালে এই জায়গাটার রূপ অসাধারণ হওয়া উচিত, ইচ্ছে আছে শীতকালে আরেক বার ঢু মারার। শহরের কোলাহল, ব্যস্ততা আর ইট কাঠ পাথরের আবর্জনা থেকে বেরিয়ে খোলা…